শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জাতিসঙ্ঘে ভাঙলো বিশ্ব নেতাদের মিলনমেলা

জাতিসঙ্ঘে ভাঙলো বিশ্ব নেতাদের মিলনমেলা

স্বদেশ ডেস্ক:

জাতিসঙ্ঘে ভাঙলো বিশ্ব নেতাদের মিলনমেলা। গতকাল বিকেলে দশ দিনব্যাপী জাতিসঙ্ঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনের সমাপ্তি টানা হয়। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ অধিবেশন শুরু হলেও মূল অধিবেশন শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। যদিও এই সম্মেলনে জাতিসঙ্ঘের ৫টি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের মধ্যে ৩টি দেশই অনুপস্থিত ছিল।

মহামারী করোনার পর এবারের অধিবেশন সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় সাধারণ অধিবেশনটি বেশ জনাকীর্ণ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ সদর দফতর প্রাঙ্গণ।

অধিবেশনে প্রথম সাত দিন হয়েছে উচ্চপর্যায়ের বক্তৃতা, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের নেতারা এতে অংশগ্রহণ করেন। মূল অধিবেশনে ভাষণের বাইরে আরো হাজারটা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্টপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে।

এবার প্রথম সাত দিন হয়েছে উচ্চপর্যায়ের বক্তৃতা। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের নেতারা এতে অংশগ্রহণ করেন। বিদেশী নেতাদের কালো গাড়ির ভিড়ে ম্যানহাটানে রাস্তা পার হওয়াই যেন কঠিন হয়ে পড়ে। মূল অধিবেশনে ভাষণের বাইরে আরো হাজারটা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্টপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সপ্তদশ বারের মতো ইউএনজিএ অধিবেশনে তিনি বাংলায় ভাষণ দেন।

জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের সাথে দ্বিপক্ষীক বৈঠক ও সাইড ইভেন্টে অংশ নেন। সেখানে মিয়ানমার থেকে আসার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন।

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদকে বলা হয় বিশ্বের আইন পরিষদ। বিশ্বের সব দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এখানে প্রায় সব বৈশ্বিক প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৪৫ সালে জাতিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার সময় আশা করা হয়েছিল এই বিশ্ব সংস্থাটি পৃথিবী থেকে যুদ্ধ, অনুন্নয়ন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঠেকাবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যে দেশগুলো জার্মানি ও তার মিত্রদের পরাস্ত করে তারাই এই সংস্থা গঠনের আসল চালিকা শক্তি। কিন্তু তাতে দেশগুলোর বন্ধুত্বে চিড় ধরতে খুব বেশি দিন লাগেনি। শুরু হয়ে গেল পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। যারা যুদ্ধ ঠেকাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারাই যুদ্ধ বাঁধাতে ছিলো সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। দেশে দেশে মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে যার যার প্রভাব বলয়ে আনাই ছিলো তাদের আসল লক্ষ্য।

এরপর ৭৭টি বছর কেটে গেলেও অবস্থা বদলায়নি, বরং বহুগুণে অবনতি ঘটেছে। পাঁচটি দেশকে তাদের সার্বিক গুরুত্বের কারণে এই সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ‘ভেটো’ প্রদানের অধিকার দেয়া হয়েছে। অথচ এ বছর সেই দেশগুলোর একাধিক নেতাই ছিলেন অনুপস্থিত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877